Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ১৭ ক্যামেরা জব্দ

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৭

কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ১৭ ক্যামেরা জব্দ

পর্যটকদের হয়রানি রোধে ক্যামেরা জব্দ। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের হয়রানি রোধে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

সৈকতের ফটোগ্রাফার বা ক্যামেরাম্যানদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও জোরপূর্বক ছবি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।

শুক্রবার অভিযান চালিয়ে হয়রানির সাথে জড়িত ১৭ জন ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরা জব্দ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

পর্যটকদের অভিযোগ, অনেক ক্যামেরাম্যান ১০টি ছবি তোলার কথা বলে একই পোজ ও একই ছবি ১০-২০টি করে প্রায় ১০০-২০০টি ছবি তোলে। পরে প্রতিটির জন্য ৫ টাকা করে আদায় করে। এ ছাড়াও অযথা ছবি তুলে তা নিতে বাধ্য করা হয়। রাজি না হলে পর্যটকদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। এমনকি ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগও রয়েছে।

এ ছাড়া কক্সবাজারে ঘুরতে আসা এক নারী পর্যটক অভিযোগ করেন, ২০-৩০টি ছবি তোলার নামে ৬০০ ছবি তুলে ক্যামেরাম্যান দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। 

গত কয়েকদিনে পর্যটকদের কাছ থেকে এমন একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কঠোর অবস্থানে যায়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের হয়রানি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যেসব ক্যামেরাম্যান পর্যটকদের হয়রানি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৭ জন ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। তাদের পরিচয়পত্র (কার্ড) বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

যারা প্রকৃত ক্যামেরাম্যান নন এবং যাদের বৈধ কার্ড নেই, তাদের সৈকতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এই পদক্ষেপ পর্যটকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। তারা আশা করছেন, এই অভিযানের ফলে সৈকতে হয়রানির মাত্রা কমবে। পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

তবে এই অভিযান কতটা স্থায়ী হয় এবং ভবিষ্যতে এমন হয়রানি বন্ধে ট্যুরিস্ট পুলিশ আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫