Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

চালকের সাহসিকতায় বাঁচল ৪০ বাসযাত্রীর প্রাণ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৫০

চালকের সাহসিকতায় বাঁচল ৪০ বাসযাত্রীর প্রাণ

একুশে পরিবহনের সেই বাসচালক মো. সোহেল। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

নিজের জীবনবাজি রেখে ৪০ জন যাত্রীকে ডাকাতদলের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছেন নোয়াখালীর বাসচালক মো. সোহেল। গুরুতর আহত হয়ে তিনি এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।

গত সোমবার মধ্যরাতে ডাকাতদের হামলায় বাসচালক সোহেলের চোয়াল থেঁতলে গেছে। মাথা ও চোয়ালে লেগেছে ৩১টি সেলাই। ভেঙে গেছে নিচের পাটির দুটি দাঁত। আহত বাসচালক সোহেল সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের গোলাম রহমানের বাড়ির শফিবুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার বিকালে মোবাইল ফোনে কথা হয় চালক সোহেলের সঙ্গে। তিনি জানান, গত ১৫ বছর ধরে বাস চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত সোমবার রাতে একুশে পরিবহনের একটি বাসে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে নোয়াখালী আসছিলেন তিনি। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হলে ১২ থেকে ১৩টি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলে করে একদল তরুণ বাসটি অনুসরণ শুরু করেন। এরপর প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ বাসটিকে ধাওয়া করেন তারা। একপর্যায়ে কুমিল্লার লাকসাম এলাকায় বাসটি থামানোর জন্য দুই দফায় চালককে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন তারা। এতে চালক আহত হন। এরপরও যাত্রীদের বাঁচাতে রক্ত নিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাস চালিয়ে যান তিনি। এতে প্রাণে বাঁচেন যাত্রীরা।

সোহেল বলেন, “দুই দফায় আমার শরীরে ইটের আঘাত লাগে। যাত্রীদের কথা চিন্তা করে বাস চালাতে থাকি। যদি তারা বাস থামাতে পারত আমাকেও প্রাণে মেরে ফেলত। এরপর সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে বাসটি নোয়াখালী সুধারাম থানার সামনে নিয়ে যাই। পরে যাত্রীরা নেমে থানায় ঢুকে পড়ে।”

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। ঘটনার পরে বাসের মালিক সুধারাম মডেল থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে চান। কিন্তু সুধারাম মডেল থানা থেকে সোনাইমুড়ী থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোনাইমুড়ী থানা থেকে আবার লাকসাম থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

পুলিশ বলছে, মোটরসাইকেলকে পাশ না দেওয়ায় ওই তরুণরা বাসটির চালকের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে জেনেছে তারা।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, সোহেলের মাথা ও চোয়ালে ৩১টি সেলাই লেগেছে। ভেঙে গেছে নিচের পাটির দুটি দাঁত। তবে তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।

পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। পরে আপডেট জানাব। তবে বাসের মালিক মামলা দিতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে।”




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫