পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫৬

দানবক্সের টাকা গণনা করছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। ছবি: কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে ১০টি দানবাক্স আছে, যেগুলো সাধারণত তিন মাস পরপর খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১১ দিন পর।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তারের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে সকাল ৭ দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
ডিসি ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৭টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০টি দানবাক্স খোলা হয়। এসব দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।
এসপি মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মী ছাড়াও আছেন মাদ্রাসার ২৮৫ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য।
দানবাক্স খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে।
এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর সকালে মসজিদটির ১১টি দানবাক্স খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়াও পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। তখন তিন মাস ১৩ দিনে দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ এই অর্থ।
মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের পাশাপাশি নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষ।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর মসজিদের আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ দাঁড়ায় তিন একর ৮৮ শতাংশে।