-67fc861a97b42.png)
খামারে ১৮০ গ্রাম ওজনের মুরগির ডিম। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে একটি খামারে ১৮০ গ্রাম ওজনের মুরগির একটি ডিম এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সাধারণত মুরগির ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। সেখানে এই বিশাল আকৃতির ডিম দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী। ডিমটি দেখতে অনেকে ভিড় জমাচ্ছে। উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়ার খামারে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাম কিবরিয়ার মা মোছা. মমতাজ বেগম বলেন, ‘গত মাসে খামারে গিয়ে একটি খাঁচায় অস্বাভাবিক বড় একটি ডিম দেখতে পেয়ে প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হলে বিষয়টি পরিবারের অন্যদের জানাই।’
খামার মালিক গোলাম কিবরিয়া জানান, ছয় মাস আগে তিনি নিজবাড়িতে লেয়ার মুরগির খামার শুরু করেন। এক মাস ধরে মুরগিগুলো নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। মায়ের কাছে ব্যতিক্রম ডিমের কথা শুনে খামারে এসে সেটি সংগ্রহ করে ডিজিটাল স্কেলে পরিমাপ করে দেখেন ওজন ১৮০ গ্রাম। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে।
তবে কোন মুরগি এই ডিম পেরেছে চিহ্নিত করতে পারিনি।
ডিমটি দেখতে গিয়েছিলেন ভাটপাড়া গ্রামের অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি ইলিয়াস হোসেন (৮০)। তিনি জানান, ডিমের ওজন ও
আকৃতি দেখে অবাক হয়েছেন। কারণ তার জীবদ্দশায় এত বড় ডিম আগে কখনো দেখেননি। স্বাভাবিক ডিমের তুলনায় এই ডিম প্রায় চার গুণ বড়। ডিমটির গঠনও আলাদা। এর খোসা মসৃণ নয়, কিছুটা খড়খড়ে। তবে রং অন্য ডিমের মতোই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সাধারণত লেয়ার মুরগির ডিম ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। কোনো মুরগি অনিয়মিত ডিম দিলে তার ডিমে একাধিক কুসুম থাকতে পারে, যার ফলে ওজন ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পাওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা। তিনি আরো জানান, তার চাকরি জীবনে মুরগির এত বড় ডিমের কথা এই প্রথম শুনলেন।
অস্বাভাবিক আকারের এই ডিম নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডিমের গঠনতন্ত্র নিয়ে গবেষণার কথা বলছেন।