Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

আসামি হলেই লুটপাট হয় বাড়িঘর

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৩৩

আসামি হলেই লুটপাট হয় বাড়িঘর

ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

শেরপুর প্রতিনিধি: কোনো সংঘর্ষ, হত্যাকাণ্ড ঘটলেই শেরপুরে আসামি ও স্বজনদের বাড়িঘরে চলে হামলা ও লুটপাট। যে যার মতো প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন নিজের বাড়ি। এ থেকে পরিত্রাণ চায় গ্রমবাসী। পুলিশ সুপার বলছেন, লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা যায়, গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩৫টি খুন,৫২ টি ধর্ষণ ও ২৭টির মতো অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের পর শত শত বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় গ্রামবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়,শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামে একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে একজন নিহত হন। তারপর থেকেই হরিণধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামে শুরু হয় লুটপাট। যে যার মত মাথায় এবং ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে যায় মালামাল।

গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায় বাড়িগুলোর প্রত্যেকটি ঘর ভেঙে আসবাবপত্র,হাড়ি পাতিল,কাথা,বালিশ, লেপ তোশক, টিনের চাল ,বেড়া,বিদ্যুতের তার মিটার এমনকি দেয়ালের ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, তাদের ৭০টি গরু, ১৮০টি ছাগল, ৮০টি সেচ পাম্প, ১৫টি পানির ট্যাংকসহ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গিয়েছে উচ্ছৃঙ্খল গ্রামবাসী। লুটপাটে বাধা দিতে গেলেই হামলা চালায় তারা। এই ধরনের লুটপাট থেকে পরিত্রাণ চেয়ে রবিবার হরিণধরা গ্রামের কয়েকশতাধিক মানুষ মানববন্ধন করেছে।

হরিণধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাতেম আলী বলেন, “আমাদের গ্রামে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বে একজন খুন হয়। তারপর থেকে উচ্ছৃঙ্খল কিছু মানুষ ব্যাপকভাবে লুটপাট চালাচ্ছে। আমার বাড়ির পাঁচটি ঘর ছিল, সবগুলো ঘরই ভেঙে নিয়ে গিয়েছে। ঘরের ইটও খুলে নিয়ে গিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের এখন থাকার জায়গা নেই। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। যারা মামলার আসামি নয়, ঢাকায় থাকেন তাদের বাড়িঘরেও লুটপাট চলছে।”

আরেক বাসিন্ধা সুফিয়া বেগম বলেন, “আমাদের পাড়ার প্রায় দুইশ ঘর ভেঙে দিয়েছে। যা ছিল সব লুটপাট করেছে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।”

শেরপুর মডেল গার্লস কলেজের প্রভাষক মাসুদ হাসান বাদল বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর না থাকায় শেরপুরে আইন-শৃঙ্খলার বেশ অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতির উন্নতি দরকার।”

শেরপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান বলেন, “মানুষ খুন হলে বিচার করবে আদালত। এভাবে আসামি ও তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট কাম্য নয়।”

জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, “শেরপুরে যে কয়টি লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে আমরা তাদের অভিযোগ নিয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫