নাটোরে শিশু ‘ধর্ষণের পর হত্যা’, এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দিল দুর্বৃত্ত

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২২:০৩

মরদেহ দেখতে মানুষের ভিড়। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে নিখোঁজের এক দিন পর মুখে আগুনের পোড়া দাগ ও গলায় প্যান্ট পেঁচানো অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে হত্যার পর তার মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টা ক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্বজনরা বলছে, ধর্ষণ করার পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দাদার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একজন মাঠে কাজ করতে গিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ খবর জানাজানি হলে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা।
এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষত চিহ্ন ও প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
শিশুর মা বলেন, মেয়েটা গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। সে মাঝেমধ্যে দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতেও সেখানে থাকত। সোমবার রাতে ওর দাদার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে সেখানে যায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি আমরা।
“আজ সকালে বাড়ির পাশের ভুট্টা খেতে তার মরদেহ পাওয়া গেলো। যে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমরা তার বিচার চাই।”
নিহতের দাদি বলেন, “আজ সকালে মেয়েটিকে খুঁজতে খুঁজতে আমি ভুট্টা ক্ষেতে যাই। সেখানে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। কে যে আমার নাতনির সর্বনাশ করে মাইরা ফেললো? আমরা তার ফাঁসি চাই।”
শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা ডাক্তারি পরীক্ষার আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার ওসি মাহবুর রহমান। তিনি বলেন, “শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রামে কিন্তু লাশ উদ্ধার হয় যেখানে তা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই মামলা চটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।”