Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করলেন স্বামী

Icon

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৩৪

স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করলেন স্বামী

আবদুল মমিন

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মায়ের সেবা নিয়ে ঝগড়ায় স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী। হত্যার আড়াই মাস পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে শাহিদা বেগমের স্বামী আবদুল মমিন হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম।

বৃহস্পতিবার নিজ কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

পুলিশ জানায়, ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামে বাড়ির টয়লেটের রিংয়ের ভেতর বিবস্ত্র অবস্থায় শাহিদা বেগমের লাশ পাওয়া যায়। নিহতের ছেলে মাছুম বিল্লাহ বাদী ও স্বামী আবদুল মমিন ১নং সাক্ষী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে এ ঘটনায় মামলা করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেশাম উদ্দিন ২৭ মার্চ ১নং সাক্ষী আব্দুল মমিনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে পাঠিয়ে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের মঞ্জুর করেন।

২১ এপ্রিল কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আবদুল মমিনকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, আবদুল মমিনের মা জীবিত। বয়স ১৩০ এর কাছাকাছি। তার মা চলাফেরা করতে পারেন না, তবে সুস্থ রয়েছেন। মায়ের সেবা-যত্ম নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আবদুল মমিন ও তার ভাই পালাক্রমে এক মাস করে তার মায়ের দায়িত্ব নিয়ে সেবা-যত্ন করছেন। মমিনের ছেলে তাদের পুরনো বাড়িতে মা এবং পরিবার নিয়ে থাকছেন। মমিন ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম ধনুসাড়া পূর্বপাড়ায় তাদের নতুন বাড়িতে থাকেন। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করেন।

তার মা যখন তার পুরনো বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, তখন মমিন সেখানে মায়ের খোঁজ নিতে যান। তখন তার মা নালিশ করেন, তার স্ত্রী মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। ওই দিন গভীর রাতে মমিন তার স্ত্রী শাহিদা বেগমকে মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণের কথা জিজ্ঞাসা করেন। এতে শাহিদা বেগম গালমন্দ শুরু করেন। মমিন বিরক্ত হয়ে তার পাশে থাকা বালিশ দিয়ে স্ত্রী শাহিদা বেগমের নাক ও মুখে চাপ দিয়ে ধরে রাখেন। কিছুক্ষণ পর দেখেন, তার স্ত্রী আর নড়াচড়া করছেন না। ভোর রাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টায় স্ত্রীর লাশ কাঁধে করে বাড়ির উত্তর পাশে টয়লেটের রিংয়ের ভেতরে রেখে উপরের ঢাকনাটি আবার লাগিয়ে দেন।

পরে ছেলেকে ফোন দিয়ে বলেন, “তোমার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না।”

তার ছেলেসহ আশপাশের লোকজন মমিনের নতুন বাড়িতে এসে অনেক খোঁজাখুজির পর লাশ খুঁজে পান।




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫