Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

“এনসিপির তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে”

Icon

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৪৪

“এনসিপির তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে”

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিক্ষোভ-সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের আবু হানিফ।

এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের আবু হানিফ।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের আয়োজনে গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সমন্বয়করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় তদবির, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা বিতর্কিত কাজে যুক্ত হয়ে জুলাই আন্দোলনের তাদের অর্জনকে ম্লান করেছে।”

গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, “সমন্বয়ক পরিচয়ে সচিবালয়ে ডিসি নিয়োগের বিতর্কে জড়ান গাজী সালাউদ্দিন তানভীর নামে এক সমন্বয়ক। সেই তানভীর আবার এনসিটিবির ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতিরও সাথেও সম্পৃক্ত হোন। এই তানভীর এনসিপির নেতা। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সরকারের উচিত তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে।”

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিবের পদ পেয়েছিলেন গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নানা অনিয়মে জড়িত হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে।

জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে গত ১১ মার্চ প্রকাশিত ‘একজন লেবাসধারীর কাণ্ড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেটাকে আমলে নিয়ে এনসিপি তানভীরকে অব্যাহতি দিয়েছে।

জুলাই আন্দোলন প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের অনীহা দেখা যাচ্ছে। জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। যারাই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের পুর্নবাসন করবে তাদেরকেই রুখে দিতে হবে। এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।”

আবু হানিফ ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে বলেন, “কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশে অন্যতম কৃষি প্রধান জেলা। এখানকার মানুষের বেশিভাগই কৃষক। হাওর এলাকায় কৃষি আবাদ বেশি হয়।এখন ভরা মৌসুমে ধানের পর্যাপ্ত মূল্য না পেয়ে কৃষকরা হতাশ।”

“ধান উৎপাদনের যে খরচ সেই তুলনায় ধানের দাম কম হওয়ায় লোকসান হওয়ার আশংকা বেশি। তাই সরকারের উচিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা। সরকারের উদ্যোগে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা। এখানে যেন মধ্যস্বস্ত ভোগী সিন্ডিকেট করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, করিমগঞ্জ উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ সামসুল আলমসহ অন্যরা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫