সাভারে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৫০

ঢাকার সাভারে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বেড়াতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে আশুলিয়া থেকে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সোহাগ মোল্লা নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদীরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত তানিয়া আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাঘানগর মহল্লার নুরুল হকের মেয়ে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, “২৫ এপ্রিল বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে নগ্ন অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা ভুক্তভোগীর পরিচয় নিশ্চিত করি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তানিয়া বেগম ও তার স্বামী সোহাগ আশুলিয়া এলাকার ‘এনএএইচ’ নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তদন্তে ভুক্তভোগীর স্বামীকে সন্দেহ হওয়ায় প্রথম থেকে আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে শনিবার রাতে তাকে আমরা আশুলিয়া থেকে আটক করে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
অভিযুক্ত সোহাগ জানান, একই গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় তানিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গত বছর তারা বিয়ে করেন। সোহাগ ও ভুক্তভোগী তানিয়া তাদের উভয়েরই আগে বিয়ে হয়েছিল। তানিয়ার প্রথম সংসারের ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। মৃত্যুর সময় তানিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মূলত সোহাগ তার প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে পরে তানিয়াকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। পরবর্তীতে সোহাগ তার দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়ার সাথে অন্য কারো বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন অপবাদ দেন।
২৩ এপ্রিল রাতে আশুলিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তানিয়াকে পরিকল্পিতভাবে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাইরে নিয়ে যান সোহাগ। পরে কৌশলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ের মধ্যে তানিয়াকে নিয়ে যান তিনি। পরিকল্পনা মতো সেখানে তানিয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোহাগ। পরে সেখানেই তানিয়াকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি।