মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া নিয়ে ফখরুলের ‘অসন্তোষ’

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৫৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি- ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে মিয়ানমারকে হিউম্যানেটিরিয়ান পেসেজ তথা মানবিক করিডোর দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একক সিদ্ধান্তে এই করিডো দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই করিডোর দেওয়ার ব্যাপারে রাজনীতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ ছিল।
সোমবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে শেখ বাজার এলাকায় গণসংযোগের সময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মানবিক করিডোর সম্পর্কে জনগণকে বোঝাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গাজাতে এখন যুদ্ধ চলছে। সেখানে যাওয়া যায় না৷ কিন্তু জাতিসংঘ থেকে সেখানে খাবার ওষুধ পাঠাতে হলে জর্ডান থেকে অথবা মিশর থেকে রাস্তা তৈরি করে গাজাতে পাঠানো হচ্ছে। ভালো কথা মানবিকতার দরকার আছে। আমার কথা হচ্ছে আজকে বাংলাদেশকে ওই জায়গাতে পৌঁছাতে হলো। যে বাংলাদেশকে একটা মানবিক করিডোর দিতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা জড়িত। সরকারের উচিৎ ছিলো, দায়িত্ব ছিলো বিষয়টা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা। তারা এটা না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মানবিক করিডোর দিচ্ছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের মানুষকে সাহায্য করার ব্যপারে কোনো আপত্তি নেই। জাতিগতভাবে সাহায্য করতে আমাদের আপত্তি নেই৷ কিন্তু এটা হতে হবে সব মানুষের সমর্থনে। আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আমরা যুদ্ধের মধ্যে জড়াতে চাই না। এখানে এসে অন্য কেউ গোলমাল করুক আমরা চাই না।”
রোহিঙ্গা সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একে তো রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা সমস্যায় আাছি। আবার মানবিক করিডোর দিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হোক সেগুলো আলোচনা করে করিডোর দেওয়া উচিৎ ছিলো বলে আমরা মনে করি।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “আমি আজ এখানে ভোট চাইতে আসিনি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে আহ্বান প্রতিশোধ পরায়ন না হয়ে সবাই মিলে ভালোবাসা দিয়ে দেশ গড়ার সে কথায় বলতে এসেছি। আসুন আমরা সবাই মিলে একটা ভালোবাসার দেশ গড়ি।”
এ সময় জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।