পর্দা নিয়ে পোস্ট, সালিশে ক্ষমা চাইলেন সেই শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১০:৪১
-681992f4cb3d1.jpg)
সালিশে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষিকা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
নারীদের পর্দা নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার এক কলেজ শিক্ষিকা। বিতর্কিত পোস্টের পর স্থানীয় আলেম সমাজের বিক্ষোভ, প্রশাসনের তৎপরতা ও সামাজিক চাপের মুখে সালিশে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ওই নারী প্রভাষক তার ফেসবুক প্রোফাইলে বোরকা পরা এক নারীর ছবি দিয়ে একটি মন্তব্য করেন। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় আলেম সমাজ বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেয়। এ ছাড়া থানায়ও বিষয়টি জানানো হয়।
পরে শিক্ষিকা তার পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি।
অবস্থা শান্ত করতে শিক্ষিকার পরিবার স্থানীয় আলেমদের উপস্থিতিতে রবিবার রাতে তাদের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে।
সালিশে শিক্ষিকার বড় ভাই, পরিবারের সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্থানীয় আলেম সমাজ এবং বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলামের কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক মুফতি শামসুদ্দিন কাশেমি।
সালিশে শিক্ষিকা প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেন।
সালিশে উপস্থিত মাওলানা মো. আখতারুজ্জামান জামাল বলেন, “পোস্টটি ইসলামের পর্দা প্রথা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে। আলেম সমাজ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি করলে পরিবার দুঃখপ্রকাশ করে সালিশ ডাকে।”
নাগেশ্বরী থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, “শিক্ষিকার পরিবারের অনুরোধে সালিশে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষিকার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের কেউ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।