
সাতক্ষীরায় আম। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার সাতক্ষীরায় আমের ভালো ফলন হয়েছে। তাই টানা দশম বছরের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে সাতক্ষীরার আম।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ৫ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। শুরুতে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাসসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া হচ্ছে। হিমসাগর বাজারে আসবে ২০ মে থেকে। ল্যাংড়া পাওয়া যাবে ২৭ মে থেকে। আর আম্রপালি ও মল্লিকা সংগ্রহ শুরু হবে ৫ জুন থেকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সাতক্ষীরায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। মোট আমবাগানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৯৯টি এবং চাষি রয়েছেন ৫০ হাজার ৭৪৫ জন।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুখরালী গ্রামের চাষি রাহাত রাজা বলেন, “আম পাকার শেষ সময়ে দুবার বৃষ্টি হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় জাতের আম এরই মধ্যে বাজারে উঠেছে। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবং আমরা ভালো লাভ করতে পারব।”

একই গ্রামের চাষি শিমুল হোসেন বলেন, “গোপালভোগ, গোবিন্দভোগসহ নানা জাতের আম বাজারে উঠেছে। প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। তবে বাজার সিন্ডিকেটের কারণে ভালো দাম পাচ্ছি না।”
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “সাতক্ষীরার আম আগে পাকায় এবং স্বাদেও ভিন্ন, তাই এর চাহিদা সারা দেশে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আম পাড়া হলে মান ভালো থাকে। না হলে সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট হয়।”
তিনি চাষিদের সময় মেনে আম পাড়ার অনুরোধ জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছে প্রচুর আম এসেছে। আকারও বড় হয়েছে। তাই এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “তিনটি উপজেলায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবার বিদেশে আগের চেয়ে দ্বিগুণ আম রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে।”