পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে জখম করেছেন মামুন আলী নামে এক যুবক। পরে নিজের গলাতেও ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মামুন ওই এলাকার নবিউল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় রংমিস্ত্রি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ঘরের ভেতরে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে যান। সেখানে দিয়ে দেড় বছর বয়সী শিশু জান্নাত ও চার বছর বয়সী শিশু কুলসুমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। আর শিশু দুটির মা মেঘলা খাতুনও ছটফট করছিলেন।

স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু দুটির মা মেঘলা মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী ও সন্তানদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মামুন নিজের গলাতেও ছুরি চালান।

মামুনের মা সুফিয়া বেগম জানান, “আমি বড় নাতনিকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। ছোট দুই নাতনি বাড়িতেই ছিল। বাড়ি ফিরে এসে দেখি, এই মর্মান্তিক দৃশ্য।”

সুফিয়া বেগম জানান, মামুনের সঙ্গে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে মেঘলা সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পরে আবার ফিরে আসে। গতকাল রাতেও মোবাইলে কথা বলা নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, “দুই শিশু ও তার মায়ের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মেঘলা খাতুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মারা যান। শিশু দুটির অবস্থা এমন আশঙ্কাজনক যে তাদের রেফার করার মতো অবস্থায়ও নেই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, “পারিবারিক কলহ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।”