আমফানে দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ হাজার হেক্টরে ফসলের ক্ষতি

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ১৯:৪২

সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকের ফসল। কৃষি বিভাগের দাবি অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় ১৭ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমির ফসলে আমফানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে।
তবে পানি না টানা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব নয় এবং পানি টেনে গেলে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাবউদ্দিন আহমেদ।
নগরীর বগুড়া রোডস্থ খামার বাড়ির বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে মোট পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৪ হেক্টর ফসলী জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমফানের প্রভাব পড়েছে।
ক্ষতির প্রভাব পড়া ফসলী জমির মধ্যে আউশের বীজতলা ১ হাজার ৯১ হেক্টর, আবদকৃত আউশ ৩ হাজার ৯৮৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৪ হাজার ৪০৪ হেক্টর, পাট ২৯ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন তীল ৭ হেক্টর, বোরো ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, মুগ ১৩৯ হেক্টর।
সয়াবিন ২৭০ হেক্টর, চীনাবাদাম ১ হাজার ১৪৫ হেক্টর, ফেলন ২৪৩ হেক্টর, তিল ৯৭৭ হেক্টর, মরিচ ২ হাজার ২৪৪ হেক্টর, ভুট্টা ২৯৬ হেক্টর, আখ ১০৬ হেক্টর, সূর্যমুখী ২০ হেক্টর, কলা ৪২০ হেক্টর, পেপে ১৯৬ হেক্টর, পান বরজ ৫৫৮ হেক্টরসহ অন্যান্য ফসলের ২৮ হেক্টর জমি রয়েছে।
বন্যা আক্রান্ত ফসলী জমির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ৯৩ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতির সম্মুখীন পড়েছে। এছাড়া পিরোজপুর জেলায় ১ হাজার ৪৩৯ হেক্টর, ঝালকাঠি জেলায় ৪ হাজার ১২৩ হেক্টর, পটুয়াখালী জেলায় ৪ হাজার ৭০৬ হেক্টর, বরগুনা জেলায় ৩৩০ হেক্টর ও ভোলায় ৭৬৪ হেক্টর ফসলী জমিতে আমফানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাবউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তালিকা হওয়া ফসলী জমিকে ক্ষতিগ্রস্ত বলা যাবে না। কেননা এসব জমি এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানি নেমে যাওয়ার পরে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বোঝা যাবে। সে জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই বিভাগের ছয় জেলার ৯১ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। এর ফলে বড় ধরনের বিপর্যায়ে হাত থেকে বোরো ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এখন বেশি হলে চার শতাংশ ধান এবং ১ হাজার ৩৩৫ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হতে পারে বলে দাবি করেন কৃষিবিদ আফতারউদ্দিন।