
ছবি: পাবনা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় আমফান, অসময়ের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর কাঁচা আধা পাকা বোরো ধান ক্ষেত। সীমাহীন দুর্ভোগে কৃষক শেষ সময়ে এসে ভেঙ্গে গেছে কৃষকের স্বপ্ন।
পাবনার চাটমোহর চলনবিলাঞ্চলে ধান কেটে বাড়ি উঠাতে না পেরে চরম বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। এক দিকে মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের থাবা অপর দিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ধান কৃষক এখন সর্বস্বান্ত। আজ চলনবিলের কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মতিন অভিযোগ করে বলেন একমুঠো ধানও গোলায় তুলতে পারবো না, সারা বছর আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। চলনবিলের হান্ডিয়ালের, পাকপাড়া, নবীন, চরনবীন, চরএনায়েতপুর, স্থল, নলডাঙ্গা, বেলঘড়িয়া, ডেফলচড়া। নিমাইচড়ার সমাজ, রুপসি, মামাখালি সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে ধানের জমি তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে পাবনা চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এ. মাসুমবিলাহ বলেন, চলনবিলের চাটমোহর উপজেলা কেন্দ্রিক চলতি মৌসুমে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯,৬৫০ হেক্টর। ঘূর্ণিঝড় আমফান, অসময়ের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিচু অঞ্চলের কাঁচা ও আধা পাকা বোরো ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমি, তবে এর মধ্যে ৫৫% জমির ধান কাটা হয়েছে।
আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলছি এবং ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।