নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মিজানুর রহমান (৪০) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী এলাকার একটি বেকারির কর্মচারী এক কিশোরী (১৪) কর্মস্থল থেকে বের হয়ে গ্রামের বাড়ি কবিরহাট উপজেলায় যাচ্ছিলো। পথে সোনাইমুড়ী এলাকার মিজানুর রহমান ওই কিশোরীকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তোলেন।

তিনি বলেন, এরপর তাকে জোর করে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া এলাকায় নিয়ে অপর এক সহযোগীসহ সারারাত ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রবিবার সেনবাগ থানায় একটি মামলা করে। মামলায় মিজানুর রহমান ও তার অপর এক সহযোগীকে আসামি করা হয়।

ওসি বলেন,রবিবার সন্ধ্যায় ছাতারপাইয়া এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত মিজানকে গ্রেফতার করে সেনবাগ থানার পুলিশের একটি দল। এরপর রাত দুইটার দিকে তাকে নিয়ে তার অপর সহযোগীকে গ্রেফতারের জন্য ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারে গেলে মিজানের সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি বন্ধ হলে ঘটনাস্থল থেকে মিজানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মিজানের লাশ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি হালকা বন্দুক (এলজি), একটি ছোরা ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি আবদুল বাতেন মৃধা।