
একটি মোবাইল ফোনের লোভে খুন করা হয় নাটোর চৌধুরী পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মৃত মাজেদ খান চৌধুরীর স্ত্রী জাহানারা চৌধুরীকে। এ ঘটনায় কিশোর হত্যাকারী সোহান আদারতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, মৃত মাজেদ খান চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে জাহানার চৌধুরীর টাচ মোবাইল ফোনের প্রতি লোভ ছিলো সোহানের। জাহানারা চৌধুরীর দুই ছেলে ঢাকা থাকায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন।
ঘটনার দিন সোহান গত বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজের কিছু পূর্বে আক্তার নামীয় একজনের বাড়ির ছাদ বেয়ে নিচে নেমে এসে পুরাতন জানালা ভেঙ্গে জাহানারা বেগমের ঘরে ঢুকে। এর পর মোবাইল ফোনটি নেয়ার সময় জাহানারা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি সোহানকে ঘরে কেন কিভাবে প্রবেশ করছে চিৎকার করতে থাকলে সোহান ঘরের ভিতরে কাঠের র্যাকে থাকা ছুরি দিয়ে জাহানারা বেগমের পিঠে আঘাত করে। এ সময় জাহানারা বেগম বাধা দিলে সোহান এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করতে তাকে। এক পর্যায়ে জাহানারা বেগম নিস্তেজ হয়ে এলে সোহান মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জাহানারা চৌধুরীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সোহানকে আটক করে। অপরদিকে নিহত জাহানারা বেগমের ছেলে আরমান খান চৌধুরী লুটু বাদী হয়ে সোহান সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। সোহান গতকাল শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে সে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেল আবুল হাসনাত , সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম , ডিবির ওসি আনারুল ইসলাম , ট্রাফিক ওসি বিকর্ণ কুমার চৌধরীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য সোহান-১৬ শহরের কান্দিভিাটা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।