কুমিল্লায় আমের দাম দ্বিগুণ!

আবু সুফিয়ান রাসেল, কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২০, ২১:৩০

জেলার অন্যতম ফলের আড়ৎ কুমিল্লার উপজেলার নিমসার বাজার। শহর থেকে নিমসারের দূরত্ব আট কিলোমিটার। এই আট কিলোমিটার পার হয়ে শহরে প্রবেশ করলেই মৌসুমি ফল আমের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
সরেজমিনে নিমসার আমের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আম্রপালি আম কেজি দরে বিক্রি হয় ৫০ টাকা, হাড়ি ভাঙ্গা ৬০ টাকা, ফজলী ৪০ টাকা, ল্যাংড়া ৫০ টাকা। আড়তে চাহিদার চেয়ে বেশি আমের সরবরাহ রয়েছে। এখন আড়তে প্রতিদিন এই দামেই পাইকাররা আম বিক্রি করছেন।
ভিন্ন চিত্র কুমিল্লা নগরীর মাঝে। নিমসার আট কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কুমিল্লা নগরীর প্রবেশ করলেই আমের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। নগরীর অন্যতম ফলবাজার রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, টমসমব্রীজ ও চকবাজারে ঘুরে দেখা যায়, আম্রপলি আম কেজি প্রতি ৯০-১০০ টাকা, হাড়িভাঙ্গা আম কেজি প্রতি ১১০-১২০ টাকা, ল্যাংড়া ৮০-১০০, ফজলী ৫০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কান্দিরপাড়ের ফল ব্যবসায়ী বিল্লাল জানান, আমাদের গাড়ি ভাড়া আছে, দোকানের ভাড়া আছে, কর্মচারীর বেতন আছে। দোকন চালাতে আরও অনেক খরচ যায়। নিজের থাকা-খাওয়া আছে। তার পর লাভ করতে হয়। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর করোনার কারণে বিক্রি কম। বিক্রি বেশি হলে, কম লাভে মাল ছাড়া যায়।
নিমসারের আড়তদারদের অন্যতম পাইকার মজনু। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে রাজশাহী থেকে আম এনে নিমসারে পাইকারি দরে আম বিক্রি করেন।
মজনু জানান, আমরা পাইকার ব্যবসায়ী। খুচরা বিক্রেতারা কেন আম বিক্রিতে এত গলাকাটা দাম নেন তা আমরা জানি না।
কুমিল্লা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আছদুল ইসলাম বলেন, তথ্যটা আমাদের কাছে নতুন। আমরা যেহেতু তথ্যটা পেয়েছি নিশ্চয়ই আমরা খুচরা এবং পাইকার বাজার ঘুরে দেখবো। যদি দামের বিষয়ে অতিরঞ্জিত কিছু দেখি তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আর দোকানি অবশ্যই পাইকারি ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করবেন। যেন অভিযান চলাকালীন তা দেখাতে পারেন।