ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে যুব মহিলা লীগ নেত্রী বহিষ্কার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৬

তরুণীকে ধর্ষণে সহযোগিতা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার করার অভিযোগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকিকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে জেলা যুব মহিলা লীগ।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পঞ্চগড় জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গত ১৫ জুলাই রাতে লাকীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে পঞ্চগড়ের বোদা থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার বিষয়টি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় জেলা শাখা যুব মহিলা লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলবিরোধী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায়। ইউটিউবের জন্য মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সময় পাঁচ বছর আগে ওই তরুণীর পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাজ্জাদ হোসেন মিলনের সাথে। ঢাকায় মিলন ভিডিও সম্পাদনার কাজ করতেন। নিজেকে প্রথম একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার বলে পরিচয় দিতেন সাজ্জাদ।
এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই সাজ্জাদ নিজ এলাকায় একটি মিউজিক ভিডিও তৈরির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করাতে ওই তরুণীকে গত ১৪ জুলাই সকালে বোদায় নিয়ে আসেন। সাজ্জাদ তাকে নিয়ে বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লাকীর বাড়িতে রাখেন। ওই বাড়িতেই সাজ্জাদসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ওই তরুণীকে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগরে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাকে ধর্ষণ করা হয়।
পরে গত বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে ওই তরুণী সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেন। রাতেই তিনি তিনজনের নামসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে বোদা থানায় মামলা করেন।
পরে পুলিশ সাজ্জাদ ও লাকীকে গ্রেফতার করে। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে।