লাল শাপলার বিকি বিলকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪০

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল গ্রামের পাশে লাল শাপলার বিকি বিলকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ আজ শনিবার এ ঘোষণা দেন। এরপর ‘পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য নতুন এলাকা’ হিসেবে সেখানে তিনি একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।
কাশতাল, বরোখাড়া ও আমবাড়ি গ্রাম বিকি বিলটিকে তিনদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। যার পাশেই মেঘালয়ের সীমান্ত অবস্থিত। চাষাবাদ ছাড়াই ১৫-১৬ বছর যাবত প্রাকৃতিকভাবে এই বিলে লাল শাপলা ফুলের বিপুল সমারোহ ঘটে। বছরের ছয় মাস এই বিলে পানি থাকে। তাই ছয় মাসই লাল শাপলার এই অপরুপ দৃশ্য দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারেন।
বিকি বিলে তাকালে মনে হবে লাল গালিচা বিছানো। জলের দেখা মিলবে পরে। যে দিকে চোখ যায়, শুধু লাল শাপলা। যেন লাল শাপলার মেলা বিলজুড়ে। পাহাড়ের কাছে হাওরের এমন সৌন্দর্য স্থানীয়দের তো বটেই, মুগ্ধ করছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজনকেও।
লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে হলে আসতে হবে ভোর থেকে বেলা ১২টার মধ্যে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, তাহিরপুর উপজেলাধীন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ টাঙ্গুয়ার হাওর, নয়নাভীরাম নিলাদ্রী ডিসি পার্ক, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকের টিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন হলহলিয়া জমিদার বাড়ির পাশাপাশি লাল শাপলার বিকি বিলটি পর্যটন সম্ভবনার নতুন মাত্রাযোগ করবে। এই বিকিবিলটি হলহলিয়ার চক ও দিঘলবাঁক মৌজার প্রায় ১৪.৯৫ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এটি পর্যটনে আকর্ষণে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে এবং জেলা প্রশাসন বিকিবিল এর উন্নয়নসহ এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ সময়ে তাহিরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মুনতাসির হাসান, সুনামগঞ্জের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার জাহান সাথী, আসিফ আল জিনাত, উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সমাজসেবক মাসুক মিয়া, বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমির উদ্দিনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।