বাসের ভাড়া দ্বিগুণ নিলেও মানছে না সামাজিক দূরত্ব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২০, ১৩:৫৬

ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক বাস ও মিনিবাসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও কুষ্টিয়ায় বেশিরভাগ জায়গায় তা মানতে দেখা যায়নি।
তবে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির বোঝা টানতে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
কুষ্টিয়া- মেহেরপুর সড়কের বাসসহ অন্যান্য রুটের প্রতিটি বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে। এতে করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি। যাত্রীরাও অসচেতনভাবে উঠে পড়ছেন যানবাহনগুলোতে। ফলে প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, গাড়িচালক ও হেলপাররা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধির ঘোষিত নির্দেশনা। মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস, গাড়ির সিটগুলো রয়েছে অপরিচ্ছন্ন। এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য ভাড়ার যে নিয়মটা করে দেয়া হয়েছিল তা মানছেন না কেউই।
যাত্রীদের অভিযোগ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বাস চালকরা। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী দুই সিটে একজন করে বসবে। অথচ তা না মেনে প্রতি সিটে দুইজন করে বসানো হচ্ছে। এসব নিয়ে বাস কতৃপক্ষের সাথে যাত্রীদের বাগবিতণ্ডা বাড়ছেই।
আব্দুল মজিদ নামের এক যাত্রী বলেন, কুষ্টিয়া থেকে মিরপুরের ভাড়া আগে ছিলো ২০ টাকা। কিন্তু এখন ৪০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এক সিটে একজন করে বসবে। অথচ তা না বসে দুইজন, সেই সাথে অতিরিক্ত যাত্রী তো থাকছেই।
গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া মজমপুর যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না টিকিট কাউন্টারগুলোতে। প্রতিটি বাসের টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় করেছেন যাত্রীরা।
কুষ্টিয়ার সচেতন মহল জানান, কুষ্টিয়ার সব রোডে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা অবাধে যাতায়াত করছে। এ সড়কে যানবাহনে শরীরের সাথে গা লাগিয়ে ঠাসঠাসি করে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। অথচ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একজন মানুষের থেকে আরেকজন মানুষের দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এমনকি দোকানে কেনাকাটা করতে গেলেও ৩ ফুট দূরত্বে থেকে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় মুখে মাস্ক হাতে গ্লাভসসহ এইসব সচেতনতাও মানছেন না। ফলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কুষ্টিয়া বিআরটিএ পরিদর্শক ওমর ফারুক জানান, এমন অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সেনা সদস্যদের টহল আরো জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।