মসজিদে বিস্ফোরণ
গ্যাস লাইনে লিকেজের খোঁজে মাটি খুঁড়েছে তিতাস

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৫৪
ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাসের লাইনে লিকেজ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের উপস্থিতিতে মসজিদের সামনে ও আশপাশের পাঁচটি পয়েন্টে মাটি খুঁড়ে পরীক্ষা করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিতাসের শ্রমিকরা এ কাজ শুরু করেছে। এসময় তিতাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসের লাইনে কোনো লিকেজ ছিল কিনা এবং থাকলে তা থেকে কতটুকু গ্যাস নির্গত হয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মাটি খুঁড়ে গ্যাস লাইনগুলো পরীক্ষা করছে তিতাস।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্যাস অফিসের শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদের সামনে এবং ডান ও বাম পাশের মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করে। প্রায় ৪০-৪৫ জন শ্রমিক শাবল, ছেনি, কোদাল, টুকরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে কাজ শুরু করেন। এছাড়া মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মেশিন দিয়ে গ্যাস লাইন শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথায় গ্যাস লাইনে লিকেজ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিতাসের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মফিজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের গ্যাস লিকেজের ব্যাপারে কেউ নোটিশ করেনি। নোটিশ পেয়ে আমরা কাজ করিনি এমন রেকর্ড নেই। অভিযোগ রয়েছে আমাদের গ্যাসের লিকেজ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে, সেটি পরীক্ষা করতেই গ্যাস লাইনগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, মসজিদ নির্মাণের আগে থেকেই এ এলাকায় গ্যাসের মেইন লাইন ছিল। মসজিদ নির্মাণ করার পর সরকারি রাস্তার মধ্যে কিছু অংশ বাড়িয়ে মসজিদের বারান্দার কাজ করা হয়। সরকারি জায়গার উপর দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। মসজিদ নির্মাণের সময় গ্যাস অফিসের লোকজন কোনো বাধা দেয়নি এবং সরকারি জায়গায় মসজিদ নির্মাণেও কোনো ধরনের তোয়াক্কা করা হয়নি।
তারা আরো বলেন, তারপরও মসজিদের পাশের রাস্তায় থাকা গ্যাস লাইনে লিকেজ হলে গ্যাস অফিসে বলার পরও কোনো কর্ণপাত করেনি তারা। বরং মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।