ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলায় চার প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন র‌্যাব ও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষে চারজন নিহতের প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সমাবেশ করছেন না।

সংগঠনের অন্যতম নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের বাধার কারণে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না পারায় তারা ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় মুসলিম ঐক্য পরিষদকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।

উপজেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক আজ সকাল জানিয়েছেন, রাতে আর কাউকে আটক করা হয়নি বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক। বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। 

ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহিদি জনতার ব্যানারে গতকাল রবিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। 

এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে চারজন নিহত হন। সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক মানুষ আহত হন।