
নুসরাতের খুনিরা। ফাইল ছবি
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিরই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এই রায় শুনে আসামিরা কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় তাদের সবাইকে খুব বিমর্ষ দেখা যায়। তারা বারবার নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালত প্রাঙ্গণে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কাঁদতে দেখা গেছে। রায়ের পর যখন তিনিসহ সব আসামিকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়, তখনো তাকে কাঁদতে দেখা গেছে।
রায় ঘোষণার পর রায় শুনে কোর্ট চত্বরে আসামির স্বজনরা আহাজারি শুরু করেন। এ সময় আসামিদের স্বজনরা উচ্চ স্বরে কাঁদতে থাকেন।
রায় শুনে কোর্ট চত্বরে আসামির স্বজনরা উচ্চ স্বরে কাঁদতে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২১ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মানুষের সামনে আনার জন্য সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ।’ এরপর ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের চুম্বক অংশ পাঠ করেন তিনি।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।