নুসরাত হত্যা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কার কী ভূমিকা ছিল জেনে নিন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৩৮

নুসরাত জাহান রাফি।
ফেনী জেলার সোনাগাজীতে আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬জন আসামীর সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায় আদালত।
সাম্প্রতিক দেশকালের পাঠকদের জন্য ১৬ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কার কী ভূমিকা ছিল তা নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো।
সিরাজ উদদৌলা
কারাগারে বসে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী।
রুহুল আমিন
জ্ঞাত থেকে হত্যার পরিকল্পনায় অংশ নেওয়া ও আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
মাকসুদ আলম
হত্যার সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেন এবং ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন।
শাহাদাত হোসেন
নুসরাতকে হত্যার জন্য কেরোসিন কিনে দেন। ঘটনার সময় তিনি নিজে নুসরাতের মুখ চেপে ধরেন।
আবছার উদ্দিন
নুসরাতকে আগুন দেওয়ার আগে মাদ্রাসার ফটকে পাহারা দেন।
আব্দুল কাদের
নুসরাতকে হত্যার আগে মাদ্রাসার মূল ফটকে পাহারায় ছিলেন।
উন্মে সুলতানা
নুসরাতের সহপাঠী ছিলেন। নুসরাতকে ছাদে ডেকে নেন। ওড়না দিয়ে নুসরাতের হাত বেঁধে ও পা ধরে রাখেন।
কামরুন নাহার
হত্যার জন্য বোরকা ও হাতমোজা কেনেন। ঘটনার সময় নুসরাতের বুক চেপে ধরেন।
ইফতেখারউদ্দিন
নুসরাতকে হত্যার আগে বৈঠকে অংশ নেন। মাদ্রাসার ফটকের বাহিরে পাহারা দেন।
নুরউদ্দিন
কারাগারে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও গেটে পাহারা দেয়।
মো. জোবায়ের
নুসরাতের ওড়নার একাংশ দিয়ে নুসরাতের পা পেঁচিয়ে ধরে ম্যাচ দিয়ে গায়ে আগুন দেন।
মহিউদ্দিন শাকিল
সাইক্লোন শেল্টারের নিচে পাহারা দেন। যাতে সবাই নিরাপদে চলে যেতে পারেন।
আবদুর রহিম
হত্যাকাণ্ড নির্বিঘ্ন করতে মাদ্রাসার ফটকে পাহারা দেন।
ইমরান হোসেন
মাদ্রাসার মূল ফটকের বাহিরে পাহারা দেন ও পরিকল্পনাকারী।
জাবেদ হোসেন
হত্যার আগে বৈঠকে অংশ নেন। আগুন দেওয়ার আগে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন দেয়।
মো. শামীম
সাইক্লোন শেল্টারের নিচে পাহারা দেন। যাতে কেউ আসতে না পারে।
