
বেগম হালিমা খাতুন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের দুইজনকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন হালিমা খাতুন। এজন্য তিনি সেই সময়ের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন।
গতকাল বুধবার (২০ জানুয়ারি) সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হালিমা খাতুন পূর্ববর্তী কর্মস্থল গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে তিনি জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগপত্র তৈরি ও চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারি ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪ উপবিধি ৩(ঘ) বিধান মোতাবেক অভিযুক্ত অফিস সহায়ক বেগম হালিমা খাতুনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (গুরুদণ্ড) প্রদান করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের নুপুর আক্তার ও নাজমুল বেপারীকে শরীয়তপুর রাজস্ব প্রশাসনে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন হালিমা খাতুন। এজন্য তিনি সে সময়ের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন নুপুর। এছাড়া গ্রাম পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একই গ্রামের রুমা আক্তার হ্যাপির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ও সুমন ব্যাপারীর কাছ থেকে তিন লাখ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হালিমার বিরুদ্ধে।
হালিমার সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, হালিমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রশাসনিক কর্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী তদন্ত করা হয়। তাকে ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ দেয়া হয় এবং সবশেষে সকল কাগজপত্র ও তার বক্তব্য এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।