Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

পাবনায় গৃহবধূকে হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২১, ১০:০৩

পাবনায় গৃহবধূকে হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা

ছবি: চম্পা বেগম

পাবনায় সদর উপজেলার চরঘোষপুর এলাকায় চম্পা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে জোর করে হারপিক খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ  উঠেছে স্বামী আরজু সরদারের বিরুদ্ধে। 

গতকাল রবিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চম্পাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাবনা বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের বায়া গ্রামের আব্দুল রহমানের মেয়ে চম্পা। ছয় বছর আগে তার বিয়ে হয় পাবনা সদরের চরঘোষপুর এলাকার আকমল সরদারের ছেলে রাজমিস্ত্রি আরজুর সাথে। বিয়ে পরে তাদের ঘরে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি ছয় মাস আগে গোপনে আরজু প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে পরিবারিক ঝামেলার সূত্রপাত হয়। প্রথম স্ত্রী চম্পাকে ছেড়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে আরজু তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে রবিবার আরজু ও তার পরিবারের সদস্যরা চম্পাকে জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশি আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে চম্পা আশঙ্কাজনক অবস্থার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেশি শান্তা খাতুন বলেন, বিকেলে একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন সময় আমার মেয়ে আমাকে ডেকে তুলে বলে- মা ওই বাড়ির চাচি বিষ খাইছে। তাড়াতাড়ি করে গিয়ে দেখি চম্পা মাটিতে পড়ে আছে। পরে সবাই মিলে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কি কারণে বা কারা কারা ছিলো, কিভাবে হারপিক খাওয়ায়ছে সেটা আমি জানি না। তবে মেয়েটির উপর অনেক অত্যাচার হয়। 

ঘটনার বিষয়ে চম্পার খালাতো ভাই প্রতিবেশি মো. মকবুল হোসেন বলেন, আমার এই বোনের স্বামী তাকে না বলে আরো একটা বিয়ে করেছে। এখন সে ওই নতুন বউ নিয়ে আলাদা থাকে। প্রথম স্ত্রীর কোনো খোঁজখবর রাখে না, ভরণপোষণ ঠিকমত দেয় না। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী আমাকে ফোন দিলে আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তাকে তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন জোর করে বাথরুম পরিস্কার করার হারপিক খাইয়ে হত্যা করা চেষ্টা করেছে। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। এখন কি করবো বুঝতে পার ছিনা। পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে, তারা আসুক তারপরে পুলিশের কাছে যাাবো।

এই বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাছিম আহম্মেদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে বা হাসপাতাল থেকে কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য আমি এখনি হাসপাতালে পুলিশ পাঠাচ্ছি। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে আশা করছি মেয়েটি আইনগত সহযোগিতা পাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫