উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেছেন, কাদের মির্জার সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার কোম্পানীগঞ্জের চলমান সংকট কাটিয়ে শান্তির জনপদে রূপান্তর করতে ১১ দফা প্রস্তাবনার জবাব কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীর পা ভেঙে দিয়েছেন। কাদের মির্জা পৌরসভার মেয়র, তিনি তার দায়িত্ব পালন করুক এটাই আমরা চাই।
তিনি আরো বলেন, কাদের মির্জার পরিচয় তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। এ ছাড়া আর কোনো সিদ্ধান্ত উনি নিতে পারেন না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদল বলেন, পৌরসভা কার্যালয় হলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এখানে থাকার কোনো সুযোগ নেই তার।
উল্লেখ্য, বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টায় স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনতে শান্তির ডাক দেন।