তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৭ বছর আজ

প্রতিনিধি, সাভার
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪৭

ফাইল ছবি
সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তুবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাত বছর আজ ২৪ নভেম্বর (রবিবার)।
এ উপলক্ষে আজ রবিবার কারখানার সামনে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে তাদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
তাজরীন ফ্যাশনের সামনে সকাল ৮টা থেকে শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকেন। পরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়াও করা হয়।
এ সময় শ্রমিকরা বলেন, তাজরীন ট্রাজেডির আজ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিতপুরে তাজরীন গামেন্টেসে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১১৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া আহত হন প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক।
এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সব সাক্ষীকে সাত বছরেও আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালে দায়ের করা এই মামলায় ২০১৫ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর থেকে গত চার বছরে ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ছয়জনের জবানবন্দি-জেরা শেষ হয়েছে।
বাকি সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে দুষছেন শ্রমিক নেতারা।
মামলার চার্জশিটভুক্ত (অভিযোগপত্র) আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।
এই আসামিদের মধ্যে পলাতক আসামিরা হলেন- আল আমিন, শামিম মিয়া, রানা, শহিদুজ্জামান দুলাল ও মোবারক হোসেন মঞ্জু। বাকিরা জামিনে আছেন।