গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২১, ১৫:২১

গ্রেফতারকৃত রাসেল ও মো. শৈকত সরকার
গাজীপুরে কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ পূর্বপাড়া এলাকার ইটভাটার পাশে বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই জনের মরদেহ উদ্ধারের চার দিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তাদের দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত করে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে জিএমপি সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, জিএমপির উপ-কমিশনার জাকির হাসান।
নিহত মাহমুদুল হাসান (২০), রংপুরের মিঠাপুর থানার চাঁদপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং মো. রাকিব হোসেন (১৮), নীলফামারীর ডিমলা থানার সাতনাই কলোনী এলাকার আলম মিয়ার ছেলে। উভয়ে জিএমপি কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ শাহানা বেকারির কর্মচারী।
প্রধান আসামি রাসেল (২৫), গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জের কিসমত দুর্গাপুর মধ্যপাড়া এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে ও তিনি শাহানা বেকারির কর্মচারী এবং মো. শৈকত সরকার (২৪), বগুড়ার ধুনট থানার শেলমারী এলাকার সাইদুল সরকারের ছেলে। গাজীপুর কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকার হোটেলের কর্মচারী।
উপ-কমিশনার জাকির জানান, শাহানা বেকারিতে কাজ করার সুবাদে মাহমুদুল, রাসেল এবং রাকিবের বন্ধুত্ব সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন আগে মাহমুদুলের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নেয় রাসেল। সেই পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ক্ষিপ্ত হয় রাসেল। গত ৩ জুলাই তিন বন্ধু আমবাগ পুর্বপাড়া এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে যাদু দেখানোর কথা বলে রাসেল কৌশলে মাহমুদুল ও রাকিবের হাত-পা বেধে ফেলে। পরে মাহমুদুলকে পাশের বিলের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে রাসেল। রাকিব এ বিষয় অন্যদের বলে দেয়ার হুমকি দিলে তাকেও একটি পিলার দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পড়ে দুইজনকে পানিতে ফেলে কচুরি পানা দিয়ে ডেকে রেখে পালিয়ে যায় সে।
স্থানীয়রা মাছ দরতে গিয়ে পানিতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই দিন অজ্ঞাত পরিচয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় । এ ঘটনায় জিএমপি কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার ওঝা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মাহমুদুলের মোবাইল ফোন রাসেল শৈকতের কাছে বিক্রি করে চলে যায়। পুলিশ ওই মোবাইলের সূত্র ধরে গত শনিবার (১০ জুলাই) রাতে শৈকতকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাইবান্ধা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাসেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ দুইটির পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।