নাটোরের বড়াইগ্রামে শিয়াল ও সাপ পিটিয়ে মারার পর উল্লাস করতে দেখা গেছে এক ইউপি সদস্যকে। গতকাল রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে এলাকার লোকজনের সাথে নিয়ে শেয়াল ও সাপ হত্যার অভিযানে নামেন বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ। 

শিয়াল ও সাপ পিটিয়ে মারার পর উল্লাস করার এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তার অনুসারীরা।

এ ব্যাপারে তার কাছে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, শেয়ালের খুব অত্যাচার বেড়ে গেছে। তাই এলাকার লোকজন শেয়াল মারার অভিযানে নামে। তারা আমাকে ডাকলে আমিও সেখানে যাই।

বন্যপ্রাণী হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ এটা আপনি জানেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে- তিনি জানান, শেয়াল মানুষকে কামড়াচ্ছে; তাই এলাকার লোকজন মেরেছে।

এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পিংয়ের সদস্য বিবিসিএফের সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, এভাবে একজন জনপ্রতিনিধি বন্যপ্রাণী হত্যা করে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে, অন্য সাধারণ মানুষ আরো উৎসাহী হবে বন্যপ্রাণী হত্যা করতে। বন্যপ্রাণী হত্যার শাস্তি দিলে মানুষ সচেতন হবে। নয়তো এই হত্যাকাণ্ডের ফলে আমরা ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বো।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলমকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। পরে বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাকে ডেকেছি। এ ব্যাপারে বন অধিদফতরের সাথে আলাপ করা হয়েছে। আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) আমি ঘটনাস্থলে যাবো। গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।