নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩ আসামির সবাইকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবদিন এই রায় ঘোষণা করেন।

আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন দেলু, মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম,আনোয়ার হোসেন সোহাগ,সামছুদ্দিন সুমন,রাসেল,মাইন উদ্দিন সাজু,ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মো.রহিম,নুর হোসেন বাদল।  

এর আগে ৯ আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জের দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪-১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত জোর করে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। তারা ঘরে থাকা নারী ও তার স্বামীকে মারধর, নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা এবং পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। একপর্যায়ে ঘটনার ৩২ দিন পর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর দেলোয়ার বাহিনীর নয়জন সদস্যের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি তদন্তে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। 

যাদের মধ্যে রয়েছে এজাহারনামীয় আট আসামি এবং এজাহারের বাইরের ছয় আসামি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে মামলার থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। 

পলাতক চার আসামিরা হলেন- আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান তারেক। তাদেরকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার কাজ চলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি এ মামলায় মোট ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই।