কক্সবাজারের দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, আটক ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৫৬

উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র স্থানীয় সন্ত্রাসী ও জলদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে র্যাব।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পেকুয়ার সীমান্তবর্তী গহীন পাহাড়ি এলাকায় র্যাবের একটানা ৪৮ ঘন্টার অভিযান চলে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীররাত পর্যন্ত।
এই পাহাড়ে অভিযানের কথা টের পেয়ে মূল হোতা হামিদ পালিয়ে গেলেও উদ্ধার করা হয় বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এসময় আটক করা হয় অস্ত্র তৈরির তিন কারিগরকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে জানা যায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র তৈরি ও বেচা-কেনা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে হামিদের মূল বাসস্থান থেকে আমরা আটটি অস্ত্র উদ্ধার করি। এর মধ্যে ছয়টি একদমই নতুন। সম্ভবত তারা এটি বিক্রির উদ্দেশ্যে রেখেছিল। তখন আমরা দুইজনকে আটক করতে পারি। এরপর মূল কারিগর আমিরুলকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
র্যাব আরও জানায়, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া কবির বাহিনীসহ বিভিন্ন জলদস্যু ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতো হামিদ ও তার সহযোগীরা। জলদস্যুতার পাশাপাশি এখানকার অস্ত্র ব্যবহার হতো রাজনৈতিক সহিংসতায়ও।
স্থানীয় টইটং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল জানান, এখানকার অস্ত্র কারবারীদের অত্যাচারে রীতিমতো তটস্থ থাকতে হতো। তাই মূল হোতাসহ এই বাহিনীর সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।