ধামরাইয়ে বালুর গদি নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা

প্রতিনিধি, ধামরাই
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৫

এই পুকুর ভরাট করাকে কেন্দ্র করে বালু ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ধামরাইয়ে ঢাকা আরিচা মহা সড়কের
ইসলামপুর বাটা গেটের পশ্চিম পাশে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের লিংক সড়কের সংযোগ মোড়ে
বালুর গদি নির্মাণকে কেন্দ্র করে বালু ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা
বিরাজ করছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বাটা গেটের পশ্চিম পাশে ছয়বাড়িয়া লিংক সড়কের মোড়ে একটি পুকুর ভরাট
করে বালুর ভিটি স্থাপনের চেষ্টা করছে বালু ব্যবসায়ীরা। একদিকে যেমন ব্যাবসায়ীরা
যে কোনো মূল্যে বালুর গদি নির্মাণ এবং অপর দিকে তা নির্মাণ
বন্ধের দাবিতে মাইকিং করে সভা সমাবেশ করছে এলাকাবাসী। বালুর গদির নির্মাণ বন্ধের
দাবিতে গণস্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন
দপ্তরে গত বুধবার স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অন্য দিকে বালুর ব্যাবসায়ীরা
অনেক টাকা বিনিয়োগ করে পুকুর মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যে কোনো মূল্যে বালুর গদি নির্মাণ করতে চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, কিছূ দিন পুর্বে ধামরাইয়ের বংশী নদীর পাড়ে বালু
মহল উচ্ছেদ করেন সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এতে বালু
ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলের ছেলে শিপলু বালু
ব্যবসার জন্য ঢাকা আরিচা মহা সড়কের বাটা গেটের মোড়ে একটি পুকুর (যাহা আংশিক
সওজের) গত কয়েক দিন ধরে ভরাট করার
পস্তূতি নিচ্ছে। পুকুরের পাশে রাস্তা দিয়ে অত্র এলাকার
প্রায় ৫/৬ টি ফ্যাক্টরি ও স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী ও হাজার হাজার
শ্রমিক জনতা যাতায়াত করেন। এ পয়েন্টে বালুর গদির ব্যাবসা শুরু করলে রাস্তার
মোড়ে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হবে ও স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী সহ ব্যপক
দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে এবং কয়েকটি এলাকা ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান
এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ
সভাপতি শফিউদ্দিন ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, ‘বালুর গদি নির্মাণ হলে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতায় ভুগবে। কোনো ভাবেই বালুর গদি
নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে ঢাকা আরিচা মহা সড়ক
অবরোধ করা হবে।’
এ দিকে বালুর ব্যাবসায়ী শিপলু
মিয়া বলেন, ‘এলাকাবাসীর যেনো
কোনো সমস্যা না হয় সেই ব্যাবস্থা করেই আমরা বালুর ব্যাবসা করতে চাই। এছাড়া আমরা
এরিমধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছি, যে কোনো মূল্যে বালুর গদি নির্মাণ করে ব্যাবসা করতেই হবে। তা না হলে আমরা আর্থিক ভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা সামিউল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।