টাঙ্গাইলে পুলিশ ফাঁড়িতে হিজড়াদের হামলা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৩৬

টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির ভাঙা কাঁচের ছবি। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ভাংচুর করেছে হিজড়ারা। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। কন্যাসন্তানসহ এক হিজরাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা এ হামলা করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তিন হিজরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটককৃত মনিকা নামের এক হিজরা জানান, তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দ উপজেলার শেহরীপূর্বপাড়া গ্রামে। তিনি আগে ছিলেন কামরুজ্জামান। ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার পপি খাতুন নামের এক নারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকেই তার শারীরিক পরিবর্তন হতে থাকে। এ কারনে তার স্ত্রী পপি খাতুন তাকে ছেড়ে তার চাচাতো ভাইকে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। ২০১৮ সালে তিনি হিজরায় পরিণত হয়ে তার নাম রাখেন মনিকা। এরপর থেকেই তিনি তার কন্যা সন্তানকে লালন পালন করছেন। তিনি শনিবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি জামালপুরে আসেন তার মেয়েকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফেরার সময় তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে।
সদর থানার ইন্সপেক্টর শামীম হোসেন বলেন, মনিকা তার মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। হিজড়ার কোলে সন্তান দেখে বাসে অন্যান্য যাত্রীদের সন্দেহ হয়। এরপর এক নারী যাত্রী ৯৯৯ ফোন করে জানায়। পরে তাকে শহরের রাবনা বাইপাস মোড় থেকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ খবর পেয়ে চামেলি নামের এক হিজড়ার নেতৃত্বে আরো কয়েকজন হিজর থানায় হামলা চালায়। সেসময় তিন হিজড়াকে আটক করা হয়। তারপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তিনি আরো জানান, মনিকা ওরফে কামরুজ্জামানের সাবেক স্ত্রী পপি খাতুনকে খবর দেয়া হয়েছিল। তিনি এসেছেন এবং তার সাথে কথা বলে জানা গেছে যে সন্তান তাদেরই। তার স্বামীর শারীরিক পরিবর্তন হওয়ায় তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন। এ কারণে তার সন্তানটি স্বামী মনিকা ওরফে কামরুজ্জামানের কাছেই থাকে। এজন্য মনিকাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।