সাভারে পুড়ে যাওয়া সেই জুতার কারখানার অনুমোদন নেই

সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭

ফাইল ছবি
সাভারের আশুলিয়ায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া কারখানাটির অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ইউনি ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার কারখানা পরিদর্শন করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম। এ সময় নিহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন তিনি।
গতকাল বিকেলে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি বঙ্গবন্ধু রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া ‘ইউনি ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড-২’ নামের জুতার কারখানায় তিন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি দুঃখজনক। কারখানার কোনও অনুমোদন ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের পরই এই বিষয়গুলো আমরা জানতে পেরেছি। স্থানীয়রাও কারখানার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের জানিয়েছেন। এখানে অনেক শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হতো। এছাড়া কারখানা ঘুরে অগ্নিনির্বাপন কোন ব্যবস্থাও আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, বিনা অনুমতিতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তারা শিল্পায়ন করেছে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এ ধরনের অনুমোদনহীন কারখানা যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যে আশুলিয়া থানা পুলিশকে এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। কারখানাটির মালিক কর্মকর্তা কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আশুলিয়া থানার এসআই সুদীপ কুমার গোপ বলেছেন, নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মালতী পাড়া গ্রামের ইমরাত হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) এবং খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার খড়িয়া গ্রামের হামিদ মিয়ার স্ত্রী শাহানারা বেগম (৪৫)।
সুমাইয়া কারখানটির পাশে রুপায়ন মাঠে সোহরাব উদ্দিনের বাসায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। চার মাস আগে এই জুতার কারখানায় কাজ নেন তিনি। শাহানারা কারখানার পাশে রুপায়ন মাঠের জুয়েল হোসেনের বাড়িতে স্বামীসহ বসবাস করতেন। দুই মাস আগে কারখানায় কাজে যোগ দেন তিনি।