চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ মানুষকে করোনা টিকা প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে নির্দেশনা অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)-এর স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিভিল সার্জন (সিএস) অফিস নগরী ও ১৫ উপজেলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। জানা গেছে, নগরী ও জেলায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় এ কার্যক্রম। চলেছে একটানা সন্ধ্যা পর্যন্ত। কয়েকটি কেন্দ্রের লাইনে মানুষ অপেক্ষমাণ থাকায় সন্ধ্যার পরও টিকা দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আগ্রহীরা সুন্দরভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকার জন্য অপেক্ষা করেছেন। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় গণটিকা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে ৩টি অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভাগুলোর প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ টি অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে প্রতি উপজেলায় ৫ টি এবং জেলায় ২০টি ভ্রাম্যমাণ দল টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। প্রতিটি দলের জন্য ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তিনশ’ মানুষকে টিকা প্রদান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, ‘১৫ উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টিকা প্রদানের টার্গেট রেখেছিলাম আমরা। কিন্তু আমরা যে হিসেব পেয়েছি তাতে আজ মোট ৪ লাখ ২৯ হাজার ২৯৪ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দিতে পেরেছি। আজকের দিনসহ উপজেলা পর্যায়ে ইতিমধ্যে ৭১ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’