ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আট বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রামকৃষ্ণ সাহা (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর দাদা বাদি হয়ে শ্লীনতাহানির অভিযোগ এনে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণের দোকানে ময়েনদিয়া এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী খাবার কিনতে যায়। সে সময় শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালান রামকৃষ্ণ।

পরে ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসায় ফিরে বিষয়টি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জমির উদ্দিনকে জানায়। তারপর ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোড়পাড় শুরু হয়। এ সময় জনরোষ থেকে রামকৃষ্ণকে রক্ষা করেন পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মাতুব্বর ও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জমির উদ্দিন। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার ডহরনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রামকৃষ্ণকে আটক করে।

রামকৃষ্ণের আত্মীয় প্রহলাদ সাহা অভিযোগের বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেন।

পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি শুনে দ্রুত বাজারে গিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন তিনি। এ ব্যাপারে পুলিশ অবগত রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।