Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

পুঠিয়ায় ‘দুলাল বাংলা লোকনাট্য উৎসব’ শুরু

Icon

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২২, ০০:৫৬

পুঠিয়ায় ‘দুলাল বাংলা লোকনাট্য উৎসব’ শুরু

১৭তম দুলাল বাংলা লোকনাট্য উৎসব-২০২২। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি

‘হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে’ এই স্লোগানে পুঠিয়ায় ১৭তম দুলাল বাংলা লোকনাট্য উৎসব-২০২২ উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে পুঠিয়া থিয়েটারের উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ বাংলা লোকনাট্য উৎসব উদ্বোধন করা হয়। এ উৎসব চলবে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত।

আর সেজন্যই পুঠিয়া রাজবাড়ি মাঠ প্রাঙ্গণ বর্ণিল সাজে সেজেছে।  প্রতিবারের মত মঞ্চের ডানপাশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রয়েছে বঙ্গবন্ধু, লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ইসলামের ছবির সারি। এ সারিতে এবার একটি নতুন ছবি যুক্ত হয়েছে। ছবিটি লোকনাট্য গবেষক কাজী সাঈদ হোসেন দুলালের। তিনি ছিলেন এই উৎসবের প্রাণপুরুষ। তিনি এখন আর নেই। এ কারণেই ১৬ বছর পর এই উৎসবের নাম হয়ে গেল ‘১৭তম দুলাল বাংলা লোকনাট্য উৎসব।’

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাইকমিশন এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে লাঠিখেলা, মাদারের গান, আলকাপ গান, বাংলা বাদ্য ও আদিবাসী নৃত্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। কিন্তু উৎসবজুড়েই যেন শোকের আবহ। অতিথিদের সবার বক্তব্যের মধ্যেই ছিল কাজী সাঈদ হোসেন দুলালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, শোক প্রকাশ এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে রাজবাড়ির সামনে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তার আগেই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাজী সাঈদ হোসেন দুলালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে বের করা হয় একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা। আর উৎসবে লাঠিখেলার দল এসেছিল পুঠিয়ার শাহাবাজপুর থেকে। রাজশাহীর তানোর থেকে আদিবাসী নৃত্য নিয়ে এসেছিল রাতৈল বাহা শিশু সাঁওতাল সংঘ। আলকাপ রঙ্গরস গ্রাম থিয়েটারও এসেছিল তানোর থেকে। বাউল দল ও বাংলা বাদ্য দল এসেছিল পুঠিয়া থেকেই।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর শুরু হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি। 

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, একজন স্থানীয় সংগঠক ও শিল্পীর স্মৃতির উদ্দেশে এ উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি, এ উৎসব আরো বেগবান হবে। দুই বাংলার সংস্কৃতিমনা মানুষ প্রতিবছর এ উৎসবে যোগ দেয়। গত দুই বছর করোনার কারণে আমরা ভারতীয়রা আসতে পারিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান ও গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না।

এ উৎসবে প্রতিবছর দুজন নাট্য ব্যক্তিত্বকে সেলিম আল দীন পদক প্রদান করা হয়। এবার নাট্যব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন ও আমিরুল ইসলামকে এ পদক প্রদান করা হয়। কাজী সাঈদ   হোসেন দুলালের স্ত্রী নাজমাতুন নাহার আমিরুল ইসলামের হাতে এ পদক তুলে দেন। এ বছর নতুন করে কাজী সাঈদ হোসেন দুলাল পদক চালু করা হয়েছে। আগামী ১২ মার্চ এ পদক লোকসংস্কৃতি গবেষক সাইমন জাকারিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এই উৎসবে কাজী সাঈদ হোসেন দুলাল নেই, তবে তার পুরো পরিবার এবং পুঠিয়া থিয়েটারের কর্মীরা এ আয়োজন করেছেন। উৎসবে সেলিম আল দীন লোকনাট্য পদক দেয়া উপলক্ষ্যে সম্মাননা পাঠ করেন দুলাল কন্যা কাজী রাফিয়া সাঈদ। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫