Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

পাবনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে মৃৎশিল্পীরা

Icon

মোঃ ফজলুল হক, পাবনা

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২২, ১৮:৪৩

পাবনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে মৃৎশিল্পীরা

বেকার হতে বসেছে উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। ছবি : পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার জেলার সুজানগর উপজেলায় মাটির অভাবে মৃৎশিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে বেকার হতে বসেছে উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুজানগর উপজেলার রাইপুর, মাছপাড়া, মানিকদীর পালপাড়া, হেমরাজপুর, সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট, সাগরকান্দী ও শ্যামগঞ্জসহ বিভিন্ন গ্রামে কয়েকশ পাল পরিবার ছিল। সে সময় ওই সকল পরিবার তাদের তৈরি মৃৎশিল্পের বাহারি বাসন-কোসন সুজানগরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

তবে কালের পরিক্রমায় প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র বাজার দখল করে নেওয়ায় এখন আর মাটির তৈরি বাসন-কোসনের তেমন চাহিদা নেই। কিন্তু তার পরও যেটুকু চাহিদা আছে মাটির অভাবে তাও পূরণ করতে পারছেন না স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা। 

এ বিষয়ে মানিকদীর গ্রামের সঞ্জয় পাল বলেন আগে এলাকার লোকজন পুকুর ও চরাঞ্চলের কিছু কৃষি জমির মাটি বিক্রি করতেন। সে সময় আমরা তাদের কাছ থেকে মাটি কিনে এনে হাড়ি, গামলা, কলসি, দই তৈরির সরা এবং স্যানিটারি চাকাসহ বিভিন্ন ধরনের বাসন-কোসন তৈরি করতাম। কিন্তু বর্তমানে সুজানগর উপজেলা প্রশাসন এবং থানা প্রশাসন বালু ও মাটি ব্যবস্থা আইন প্রয়োগ করায় কেউ মাটি কাটতে বা বিক্রি করতে পারছেন না। এমনকি থানায় মাটি কাটা ও বিক্রি করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেও কোনো ফল হচ্ছে না বলে জানান উপজেলার হেমরাজপুর গ্রামের জীবন পাল। ফলে তারা মাটির অভাবে মৃৎশিল্প তৈরি করতে না পারায় বেকার হয়ে পড়ছেন।

অনেকে আবার বাধ্য হয়ে তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিয়েছেন বলেও উপজেলার মানিকদীর গ্রামের বাবলু পাল জানান। 

ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, একসময় সুজানগরের বিভিন্ন জায়গায় মৃৎশিল্পের বাহারি বাসন-কোসন তৈরি করতো। এখন তেমন চোখে পড়ে না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫