
নিহত মহিউদ্দিন সরকার নাঈম (২৮)। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লায় সংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে (২৮) গুলি করে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুইজনের নাম এজাহারনামায় রয়েছে। বাকি দুইজন অজ্ঞাতনামা আসামি।
আজ শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহারনামায় থাকা গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হলেন- ফরহাদ মৃধা (৩৮) ও মো. পলাশ মিয়া (৩৪)।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, প্রধান আসামি রাজু এখনো পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে মাদক কারবারির গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নিহত হন। গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদের শঙ্কুচাইল ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন মহিউদ্দিনের বন্ধু পলাশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পলাশ জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজু বাহিনী অস্ত্র নিয়ে এসে সাংবাদিক কই বলে চিৎকার করেন। এসময় মহিউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গুলি করেন তারা। তখন আমি পালিয়ে যাই। পরবর্তীতে কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পাই। পরে শুনি মহিউদ্দিনকে মেরে ফেলেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মহিউদ্দিনের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাজুকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়।
রাজু কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মহিউদ্দিন একসময় সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। আনন্দ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন। হঠাৎ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ভারতীয় সীমান্তে মাদক চোরাচালানের গোপন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতেন। এ নিয়ে রাজুর সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।