ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে চালকদের জরিমানার টাকা নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সার্জেন্ট পিযুশের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাতে ২০ জন ভুক্তভোগী রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই পুলিশ সার্জেন্ট পিযুশকে প্রত্যাহার করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উপজেলায় গত এক মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহার না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে নিয়মিত জরিমানা করেন সার্জেন্ট পিযুশ। কিন্তু সেই জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘উপায়’ এর একজন এজেন্টের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে জমা করে নেন।

রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আর ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাণীশংকৈলের সার্কেল এএসপি বিষয়টি তদন্ত করছেন। আমরা জেলায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু তিনি (সার্জেন্ট পিযুশ) এই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট পিযুশের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে যে এজেন্টের মাধ্যমে তিনি নিজের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতেন সিরাজুল নামে সেই ব্যক্তি বলেছেন তিনি ট্রাফিক সার্জেন্টের নির্দেশেই তার মোবাইলে টাকা জমা করতেন।