ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অসুস্থ সিংহীর মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৬

মৃত সিংহী নদী
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পুরুষ সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলনে করতে গিয়ে অসুস্থ এক সিংহী মারা গেছে। মারা যাওয়া সিংহীর নাম নদী।
আজ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে মারা যায় সিংহীটি।
জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় দুমাস ধরে অসুস্থ ছিল প্রাণীটি। পার্ক কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে বোর্ড বসিয়ে তার চিকিৎসা করেও বাঁচাতে পারেনি।
সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের নারী সিংহ নদী গত ২ ফেব্রুয়ারি পুরুষ সিংহ সম্রাটের সাথে মারামারি করে। এতে পুরুষ সিংহ বেশি আঘাত পায়। প্রাণিসম্পদ চিকিৎসকের পরামর্শে তারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি শারীরিক মিলনে গিয়ে সম্রাট-নদী আবারো মারামারিতে জড়িয়ে জখম হয়। সিংহ দুটিকে ভেটেরিনারি ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের পরামর্শে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সম্রাট সুস্থ হয়ে উঠলেও নদীর গলার নিচের জখম থেকে পানি ঝরছিল। তা সারাতে ২২ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পার্কের বর্তমান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. হাতেম সাজ্জাত জুলকার নাইন চিকিৎসা দেন।
পার্কের তত্ত্বাবধায়ক আরো বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং পার্কের ভেটেরিনারি কর্মকর্তাসহ পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেডিকেল বোর্ড গঠন করে অসুস্থ নদীকে চিকিৎসা সেবা দেন। দিন দিন খাদ্যগ্রহণ কমে যাওয়া এবং মুখ থেকে লালা ঝরা কমেনি নদীর। ২৭ মার্চ থেকে একেবারে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে নদী জিহবা বের করে রাখতে শুরু করে। সাথে লালা ঝরার পরিমাণও বেড়ে যায়। তখন আবারো চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং পার্কের ভেটেরিনারি কর্মকর্তাসহ চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড সিংহটিকে চিকিৎসা দিতে থাকে।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, রোগের কোনো উন্নতি না হয়ে সিংহী আরো দুর্বল হয়ে পড়ায় বোর্ডের সিদ্ধান্ত মতে চিকিৎসা অব্যাহত রাখা হয়। ২৮ মার্চ তার রক্ত ও ক্ষতস্থানের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। ১২ এপ্রিল পাওয়া রিপোর্টের ফলাফলে সিংহের ক্ষতস্থান থেকে শরীরে ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়।