বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১১:১৬

সড়ক সংস্কার কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি
রাজশাহী জেলার পুঠিয়ার সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট (কমপেকশন) কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজটি পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয়রা এ বিষয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
পুঠিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলার মোল্লাপাড়া থেকে সাধনপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আট কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের এ কাজটি পায় রাজশাহী মহানগরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স।
এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছয় কোটি ৫৫ লাখ টাকার টেন্ডার পাওয়ার পর ওই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে রাস্তার এক পাশ প্রশস্তকরণের জন্য খনন করাও শুরু করেছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে ঠিকাদারের লোকজন উপজেলার পচামাড়িয়া বাজার থেকে সাধানপুরের দিকে রাস্তার প্রশস্তকরণ ভরাট কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করেছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ অনিয়ম তারা প্রত্যাশা করেননি। সরকারি নিয়ম অনুসারে সংস্কার কাজ সম্পাদন করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই অনিয়মের বিরুদ্ধে এখনই তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এ ব্যাপারে শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, গত বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতেও সড়ক সংস্কারের কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। তবে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সরদার জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে সড়ক সংস্কার কাজে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আপেল আহম্মেদও জানান, সড়ক ভরাট করার জন্য মাটি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঠিকাদার ওয়াসিমুল হক জানান, অভিযোগটি সঠিক নয়। সড়ক সংস্কারের কাজে সব নিয়ম মানা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে সর্তক করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে মাটি সরিয়ে বালি দিয়ে কাজ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।