
জব্বারের বলী খেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ছবি: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
তিন
বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে আজ সোমবার (২৫
এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে শুরু
হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জব্বার আলীর বলী খেলা।
আজ সোমবার সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
করেছেন। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মোহাম্মদ
রেজাউল করিম চৌধুরী।
বলী খেলা উপলক্ষে
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালদিঘি মাঠ এলাকায় গতকাল
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় নানা
রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন
দোকানিরা। দিনের বেলায় লোক সমাগম কম
থাকলেও সন্ধ্যার পর জমতে শুরু
করেছে মেলা।
জানা
গেছে, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় এবার
মেলায় বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্নে রাখতে গতকাল রবিবার থেকে প্রধান সড়কের
উপর কাউকে বসতে দেওয়া হচ্ছে
না। ফুটপাত ও খালি জায়গায়
দোকান বসানো হয়েছে। মেলায় আসা দোকানিদের কাছ
থেকে যাতে কেউ চাঁদা
নিতে না পারে সেজন্য
কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করেছে সিএমপি। আয়োজক ও পুলিশের পক্ষ
থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে
দোকানিদেরও সর্তক থাকতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, লালদিঘির
পাড় ও আশেপাশে পুরো
এলাকাজুড়ে বসেছে মেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাটির তৈজসপত্র,
খেলনা আর বাঁশ-বেতের
সামগ্রী, গাছের চারা, ফুলঝাড়ু, তাল পাতার হাতপাখাসহ
নানা ধরনের পণ্য নিয়ে এসেছেন
ব্যবসায়ীরা। মেলায় রয়েছে কাঠ ও প্লাস্টিকের
তৈরি আসবাব, সৌখিন জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনাসহ নানা সামগ্রী। কথিত
আছে চিরুনি থেকে ফুলদানি প্রায়
সবই পাওয়া যায় এ মেলাতে।
তবে প্রথম দিনে মেলা পুরোপুরি
জমে না উঠলেও আজ
সোমবার থেকে ভিড় বাড়বে
বলে আশা বিক্রেতাদের।
এদিকে,
বলী খেলায় অংশ নিতে গতকাল
রবিবারে দূর-দূরান্ত থেকে
প্রতিযোগীরা এসেছেন। যাচাই বাছাই শেষে আজ সোমবার
মূল মঞ্চে শক্তির লড়াইয়ে নামবেন একশ প্রতিযোগী। আয়োজকদের
পক্ষ থেকে প্রতিযোগীদের থাকা-খাওয়াসহ জার্সি প্রদান করা হবে। আজ
প্রতিযোগিতা শুরুর আগে জার্সি পড়ে
এসব প্রতিযোগীরা মেলার এলাকা প্রদক্ষিণ করেছেন।
মেলা
কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবারের
মতো এবার দেশের বিভিন্ন
এলাকা থেকে বলীরা নাম
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব
বলীদের কুস্তি প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কোনো প্রশিক্ষণ নেই।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় এরা বছরজুড়ে প্রতিযোগিতার
জন্য নিজেদের তৈরি করেন। অনেকে
আবার বংশ পরম্পরায় বলী
খেলে আসছেন। অনেকটা প্রাণের টানে প্রতিবছর তারা
ছুটে আসেন এ প্রতিযোগিতায়।
তিনি
আরো বলেন, এবার খেলায় অংশগ্রহণকারীদের
জন্য থাকা ও খাওয়ার
ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব
প্রতিযোগীদের যদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
থাকত, তাহলে লড়াইটা অন্যরকম হতো।