ভিজিএফের চালের বস্তা গায়েবের ঘটনায় গ্রামপুলিশ গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪৭

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে ভিজিএফের ৪০ বস্তা চাল গায়েবের ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামপুলিশ মো. হারুনকে আটক করে গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে নোয়াখালীর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ইউপি সচিব আব্দুল কাইয়ুম বাদী হয়ে এ মামলা দায়েরে করেন। এদিকে গ্রামপুলিশ হারুনের একটি ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে হারুন অভিযোগ করে বলেন, আমি এ ঘটনার জন্য দায়ী নয়, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন এ ঘটনায় জড়িত। আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমার তিনটি সন্তান রয়েছে, আমি ৪২০ বস্তা চাল এনে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়েছি এবং চেয়ারম্যানকে ডিও বুঝিয়ে দিয়েছি। অথচ আমাকে এখন ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি , আমি এর বিচার চাই।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদে রিলিফের ৪২০ বস্তা চাল থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৩৮০ বস্তা। সকালে এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের পাহারাদার হারুনকে অভিযুক্ত করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
কবিরহাট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে গ্রামপুলিশ হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি সচিব কাইয়ুম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান নতুন মানুষ তেমন কিছু বুঝে না, এটা গ্রামপুলিশ হারুন ঘটিয়েছে।
বাটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীনের যোগসাজশে তার লোকজন পাহারাদারকে দিয়ে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এবং বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম পুলিশকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।
৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীন ৪০ বস্তা চাউল গায়েবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানান। এ ঘটনার জন্য তিনি গ্রাম পুলিশ হারুনকে অভিযুক্ত করেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার ও মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।