ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৯

ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসীর সাথে কথা বলে ডেনমার্কের রাজকুমারী। ছবি : সংগৃহীত
ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসনকে মনের কথা বলতে পেরে খুশি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী। গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলায় এসে সুন্দরবন সংলগ্ন দারিদ্রপীড়িত মানুষের সাথে সময় কাটান মেরি।
গতকাল সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হ্যালিকপ্টারে এসে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ধানখালীতে নির্মিত হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করেন রাজকুমারী। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে করে তিন কিলোমিটার দূরে কুলতী গ্রামে যান এবং কথা বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে। এছাড়া ঘুরে দেখেন কুলতী এলাকার বেড়িবাঁধ ও সাইক্লোন সেন্টার।
ম্যারিকে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দলনেতা জগদীশচন্দ্র মণ্ডল।
নিরাপত্তার স্বার্থে যুবরাজ্ঞীর সফর উপলক্ষে জেলায় ও সুন্দরবন এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাংবাদিকদেরও প্রবেশাধিকার ছিল না সেখানে।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসীমকুমার মৃধা বলেন, রাজকুমারী কুলতী গ্রামে গিয়ে বেড়িবাঁধে কিছুক্ষণ হাটেন, আশ্রয়কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেন। পরে কুলতী গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বলেন রাজকুমারী। গ্রামবাসী তাকে জানিয়েছে, দুর্যোগে ভঙ্গুর বাঁধের জন্য তারা প্রায় প্রতিবছর ঘরবাড়ি হারায়।
এরপর মুন্সিগঞ্জের বরষা রিসোর্টে দুপুরের খাবার খান মেরি। তারপর সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য যান কলাগাছী এলাকায়। সেখানে রাজকুমারীকে স্বাগত জানান খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন।
জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে ম্যারি এলিজাবেথের সফর সম্পন্ন হয়। নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় এসএসএফ ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
সফর শেষে বিকেল ৫টার দিকে আবার হ্যালিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যান ম্যারি।