পরিবারের সাথে ঈদ করতে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে গত দুই দিনে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় তিন লাখের বেশি মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৬টি লঞ্চের মাধ্যমে ঘরমুখো মানুষ পদ্মা পার হচ্ছেন। 

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের মাঝিকান্দি ও শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে লঞ্চ চলাচল করে সূর্যোদয় থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। আর স্পিডবোট চলাচল করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। 

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাট সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১ মে) ১৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট স্পিডবোট ও লঞ্চ চালু ছিল। এসময় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ পদ্মা পার হন। শনিবার (৩০ এপ্রিল) চালু ছিল ১৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। সেদিন পদ্মা পার হন ৮৫ হাজার জন।

আর গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ১৫ ঘণ্টা চলাচল করে স্পিডবোট ও লঞ্চে মোট এক লাখ ১০ হাজার জন পদ্মা পার হয়েছিলেন।

শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, রবিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চগুলো মোট ৩৭২টি ট্রিপ দিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন জানান, রবিবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলের বাড়তি চাপ ছিল।

তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চাপ কমে যায়। এ ঘাট ব্যবহার করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মোটরসাইকেল পদ্মা পার হয়। আর দেড় হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস ফেরির মাধ্যমে পার হয়েছে বলে জানান তিনি।