
ফিরতি পথেও শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ঈদের
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে
শুরু করেছে শ্রমজীবী মানুষ। এ কারণে সড়ক
ও নৌপথে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। তবে ফিরতি পথেও
যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (৬ মে) সকাল
থেকে দেশের অন্যতম নৌপথ শিমুলিয়া ঘাটে
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,
ফেরিতে যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার না করায় ছোট
ও হালকা যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে
ফেরিগুলো। ফলে যাত্রীদের লঞ্চ
আর স্পিডবোটই একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর
এই সুযোগে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পদ্মা নদী
পার হচ্ছেন যাত্রীরা।
রাজধানীবাসীরা
ঢাকায় ফেরার জন্য শিমুলিয়া-বাংলাবাজার
নৌপথ ব্যবহার করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন
স্থান থেকে সকাল ১০টার
পর বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের চাপ
বৃদ্ধি পায়। অনেকের শনিবার
অফিস থাকায় একদিন আগেই ঢাকায় যাচ্ছেন।
আগামীকাল
শনিবার (৭ মে) থেকে
লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে
বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী
থেকে আসা যাত্রী হিরু
মোল্লা জানান, ঈদ আসলেই আমাদের
দুর্ভোগে পড়তে হয়। ঘাটে
আসলে ফেরিতে উঠতে পারি না।
লঞ্চে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ। পা ফেলার
জায়গা নাই। ভাড়া খুব
বেশি না নিলেও যাত্রীদের
চাপে শেষ হয়ে যাই।
যদি লঞ্চে টিপের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তাহলে দুর্ভোগ
কমবে। আর পুলিশ যদি
লঞ্চের মালিকদের চাপ দেয় কম
যাত্রী নিতে তাহলে সমস্যা
থাকে না।
বরিশালের
উজিরপুরের যাত্রী আহমেদ রতন বলেন, মোটরসাইকেল
নিয়ে আসছি ঈদ করতে।
যাওয়ার সময় যেমন ফেরিতে
উঠতে কষ্ট হয়েছে, ঠিক
তেমনই ফেরার পথেও একই কষ্ট।
দীর্ঘ সময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে
আছি। অথচ ঘাটে বড়
বড় ফেরি নোঙর করে
রাখা। এই সময়ে যদি
ফেরিগুলো ছাড়া হতো, তাহলে
এতো কষ্ট হতো না।
কি কারণে এমন করে রাখতে
জানি না। এদিকে কর্তৃপক্ষের
নজর দেয়া উচিত।
বাংলাবাজার
ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিটিসির ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন,
এই ফেরিঘাটে আজ ঘরমুখো যাত্রীদের
চাপ রয়েছে। সাতটি ফেরি এই ঘাটে
যাত্রী এবং যানবাহনগুলো পারাপারে
নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে
ঈদ শেষ হলেও কিছু
সংখ্যক যাত্রী এখনো গ্রামের বাড়িতে
ফিরে যাচ্ছে। এজন্য ৮৭টি লঞ্চ ছাড়াও
একশ’র বেশি স্পিডবোট
চলছে। কোথাও কোনো অনিয়ম পেলে
ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চুরি
ছিনতাই রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও
তৎপর রয়েছে।
লঞ্চ
ঘাটে দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএয়ের পুলিশ পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, প্রতিবারই ঈদ শেষে ফেরার
পথে যাত্রীদের চাপ একটু বেশি
থাকে। এবারও দু’দিন ধরে
যাত্রী চাপ রয়েছে। আমরা
প্রতিটি লঞ্চে যেন অতিরিক্ত যাত্রী
পারাপার না করে সেজন্য
লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের চাপ
দিয়ে আসছি। অনেক সময় যাত্রীরা
তাড়াহুড়া করে লঞ্চে উঠে
তখন আর তেমন কিছু
করার থাকে না। তাও
চেষ্টা করছি নিয়ম মেনেই
যাত্রীরা পারাপার হোক।