সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : ২২ জনের লাশ হস্তান্তর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ১০:৫৯

বিস্ফোরণে নিহত একজনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি : স্টার মেইল
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে মৃত ৪৯ জনের মধ্যে ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৫ জুন) রাত থেকে আজ সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণ ও আগুনে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জনের লাশ চমেক হাসপাতালে আছে। বাকি আটজনের লাশ বিভিন্ন হাসপাতালে থাকতে পারে। এদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসকের দপ্তরের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, লাশ হস্তান্তরের সময়ই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের নগদ দুই লাখ টাকার চেক ও দাফন-কাফনের যাবতীয় খরচ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে সকাল ১০টায় চমেক হাসপাতালে আসেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
এসময় আনোয়ার হোসেন বলেন, ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে। তবে ডিএনএ রিপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। ততদিন এসব লাশ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হবে।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এ অগ্নিকাণ্ডের এখন পর্যন্ত ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক।